লকডাউন উঠে গেলে করোনারোধে জরুরী করণীয়

লকডাউন উঠে গেলে করোনা রোধে জরুরী করণীয়:

১. আমিতো বাসায় ছিলাম আমার শরীরে কিভাবে করোনা ঢুকলো?” অনেকের প্রশ্ন! এখন সর্বোচ্চ জিজ্ঞাসিত ও।
২. ঢুকলো, কারন আপনার বাসায় কেউ বাইরে থেকে নিশ্চিত করোনা নিয়ে এসেছে।


৩. যেহেতু লকডাউন উঠে যাচ্ছে ও অফিস-আদালত শুরু হচ্ছে, সুতরাং করোনার বিস্তার আরো দ্রুত বাড়বে। কিন্তু, সাবধান হয়ে কাজ করতে হবে। সাবধান হলে জানতে হবে কিভাবে, কোথায়, কখন করোনা ছড়ায়।


৪. এটা একটা পাবলিক হেলথ ক্রাইসিস, এটার হিসাব সাধারণ অংকের মতো। এই অংক না বুঝলে আর সেই হিসাব মতো কাজ না করলে এটা মেডিকেল ইমারজেন্সি থেকে মেডিকেল ক্যাটাস্ট্রফিতে পরিণত হবে। তখন এটা সামাল দেয়া কোন অবস্থায় সম্ভব হবে না!

আপনার নিজেকে আপনিই বাঁচাবেন…….


৫. অংকটা হলো: সফল সংক্রমণ (Infection) = ভাইরাসের পরিমান x সময়


৬. ইনফেকটেড হবার জন্যে আমাদের মাত্র ১০০০টি ভাইরাস পার্টিকেল দরকার বলে অনেক বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যে বলেছেন। কিন্তু সেই ১০০০টি ভাইরাস আমরা কোথায় পাই?

৭. আক্রান্ত কেউ খোলা কাশি দিলে, হাঁচি দিলে, প্রতিবারে সে লোক 200,000,000টি ভাইরাস পার্টিকেল ছেড়ে দিল বাতাসে। সেই পার্টিকেলগুলি কয়েকমিনিট ধরে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে ঘুরে বেড়ায়। আপনি তখন এর ভেতর পড়লে সেখান থেকে ১০০০টি নিয়ে নেয়া কোনও ব্যাপারই নয়।


৮. কিন্তু আক্রান্ত কেউ যখন সাধারনভাবে শ্বাস নিচ্ছে, তিনি শুধু প্রতি মিনিটেই কমপক্ষে ২০টি ভাইরাস পার্টিকেল ছড়াবে। তার মানে হচ্ছে ১০০০টি পার্টিকেল ছড়াতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ১০০০/২০=৫০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু, আপনার চারপাশে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা যত বেশি থাকবে, এই সময়টা ততই কমবে। যদি আক্রান্ত থাকে ১০ জন, তাহলে ৫০ মিনিট/১০ = ৫ মিনিটেই আপনি কমপক্ষে ১০০০ করোনা পার্টিকেল এমনিতেই পেয়ে যাবেন।


৯. কেউ যখন কথা বলবেন তখন প্রতি মিনিটেই তিনি এই শ্বাসের দশগুন, অর্থাৎ ২০০টি ভাইরাস পার্টিকেল ছড়াবেন। তাহলে ১০০০টি পার্টিকেল পেতে আপনার লাগবে মাত্র ১০০০/২০০ = ৫ মিনিট।


১০. অফিস খুললে আপনার পাঁচজন কলিগের সাথে মাস্ক খুলে যদি হা হা হি হি করে গল্প গুজব করেন, সেল্ফি তুলেন, আর যদি সবাই লক্ষণবিহীনভাবে করোনা ভাইরাস বহন করে থাকেন, তাহলে মাত্র এক মিনিটেই আপনি নিয়ে নিলেন ১০০০টি ভাইরাস। কারন, ৫/৫=১। আপনি মনে মনে ভাববেন যে মাত্র এক মিনিটেই? হ্যা! মাত্র এক মিনিটেই!! উপরের এই হিসাব মানুষ থেকে মানুষে, এবং ব্যক্তির শারীরীক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ক্ষাণিক কমবেশি হবে। কিন্তু ফর্মুলা একই এবং অভিন্ন।


১১. সুতরাং, যত অল্প জায়গায় বেশি মানুষ, আর সেই মানুষেরা যত বেশি পরিমানে মুখ খুলবেন, ভাইরাস ততই বেশি…….ছড়াবে।


১২. আপনি যদি একটি বড় রুমে তিনজন কলিগের সাথে বসেন, যারা মাস্ক পড়েন এবং কথা বলেন না, বা আস্তে আস্তে দুর থেকে শুধু প্রয়োজনীয় কথা বলেন, তাহলে আপনার রিস্ক কম।


১৩. আপনি যদি কল্ সেন্টারে কিংবা ব্যাংকের বুথে কাজ করেন, যেখানে অল্প জায়গায় অনেক মানুষ, তাহলে আপনার রিস্ক অনেক বেশি। যত বেশি ভাইরাস যত লম্বা সময় ধরে আপনার আশেপাশে থাকবে, আপনি তত রিস্কি।


১৪. খোলা জায়গা, কম/অল্প মানুষের জায়গায় রিস্ক কম। সুতরাং, আপনার অফিস/কর্মস্থল বা সারাউন্ডিংস কেমন সেটার উপর আপনার রিস্ক নির্ভর করবে। আর মাস্ক পড়ে থাকলেও অপ্রয়োজনে কথা বলা, আড্ডাবাজি, হাহাহিহি এখন না করলেই খুব বেশি ভালো।

এডিশনাল_টিপস:

১. হাত ধোয়া নিয়ে কনফিউশনের কিছু নেই। কমন কোথাও যখনি হাত লাগাবেন, সেটা এক মিনিট পরেই হোক, আর বিশ মিনিট পরেই হোক, তখনি কমপক্ষে বিশ সেকেন্ড ধরে কচলে কচলে হাত ধুতে হবে। অবশ্যই টেপটি কচলে ধুতে অবহেলা করবেন না, কেননা সেটি কমন বিধায় সবাই ব্যবহার করেন।


২. কোন সময় হাত গলার উপরে ওঠাবেন না। হাত থাকবে গলার নিচে। খুব জরুরী হলে ভাল করে ধুয়ে তারপর হাত গলার উপরে উঠবে। ভেরী সিম্পল।


৩. আর যারা ভাবছেন যে অন্য সবার করোনা হলেও আপনার, আপনার বন্ধুদের, কলিগদের বা কাছের মানুষদের করোনা নেই বা হতে পারে না, তাদের জন্যে

MAY ALMIGHTY ALLAH BLESS YOU!!!

সংগৃহীত