ফুলের মমি কিভাবে বানাবেন

ফুলের মমি

এই যে বোতলটা দেখছেন এখানে আছে চাঁপাফুল। ৯০ দশকের চাঁপাফুল। আজো তেমনি আছে। এক ধরনের মমি করে রাখা বলা যায়। এমন ফুলের বোতল ৯০ দশকে অনেকের বাড়িতে শোভা পেতো। চাঁপাফুল বা বেলী ফুলের বোতলই বেশি দেখা যেত। এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমাদের বাসায় এই বোতল আজো তেমনি আছে। ৯০ দশকের চাঁপাফুলে কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়নি। ঠিক তেমনই তাজা আছে।

এবার জানা যাক কিভাবে বানাবেন:

১. তাজা তাজা চাঁপাফুল বা বেলীফুল নিবেন। বোটার দিকে সবুজ অংশ যেটা থাকে সেটা ফেলে দিবেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি চাঁপাফুল বা বেলী ফুলের বড়সড় কলি নেন। কারণ বোটা ফেলে দেওয়ায় অনেক সময় ফুলের পাপড়ি গুলো খুলে যায়। কলি দিলে সেটা টেকসই থাকে বেশি।

২. পানি ফুটিয়ে নিবেন। পানি ঠাণ্ডা হলে সেখানে ফিটকিরি দিয়ে নাড়াবেন। এক লিটার পানির পরিমাণে আধামুঠ এর কম ফিটকিরি নিবেন।

৩. এরপরে বোতলে ফুল গুলো আস্তে আস্তে করে ঢুকাবেন।

৪. যেই সাইজের বোতল নিবেন সেই বোতলে কানায় কানায় ফিটকিরি মিশ্রিত পানি দিয়ে ভরে নিবেন।

৫. এখন যেই কাজটা করতে হবে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্লাস্টিক বা অন্যকিছু দিয়ে একেবারে এয়ারটাইট করে বোতলের মুখটা বন্ধ করে দিন। যেন কোনো বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। সামান্য বাতাস ভিতরে থাকলে সমস্যা নেই। কিন্তু সেই বাতাসও যেন বের হতে না পারে। কারণ একবার বোতলের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে এই মুখ আর খোলা যাবে না। মুখ খোলা হলেই ফুল নষ্ট হয়ে যাবে এবং খুব বিশ্রী একটা গন্ধ পাবেন।

মুখটা কোনো র‍্যাপিং পেপার কিংবা অন্যকিছু দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে পারেন। সবাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই ফুলের মমি বানাতে। ভবিষ্যতে আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর পরে কেউ এই ফুলের মমি দেখে হয়তো নস্টালজিকও হয়ে যেতে পারে। আমাদের বাসায় এই বোতল যখনই দেখি তখনই আমি সেই ৯০ দশকে ফিরে যাই। সেই ‘হাওয়া মে উরতা যায়ে’ গানের সুরে চোখে ভাসে বাকের ভাইয়ের হাতে চেইন ঘোরাবার দৃশ্য। কিংবা কানে আসে ম্যাকগাইভারের সেই ইন্ট্রো মিউজিকটা। কিছু কিছু স্মৃতি সময়কে বন্দি করে রাখে। স্মৃতির সাথে সময়কে বন্দি করে রাখার অনেক দারুণ একটা মাধ্যম হতে পারে এই ফুলের মমি। ধন্যবাদ সবাইকে।