বাচ্চা হাতি সিনড্রোম

এক লোক হাতির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, হঠাৎ থেমে গেলেন। একটি বিষয় মনে দ্বিধা তৈরী করায় তিনি থমকে যান।
তিনি দেখলেন এতো বড় প্রাণী গুলো শুধুমাত্র সামনের পায়ে ছোট্ট একটি দড়ি দ্বারা বাঁধা হচ্ছিল। কোন চেইন বা কোন খাঁচা নয়। এই দড়ি এতো বড় প্রাণীর পক্ষে ছেড়া খুব মামুলি ব্যাপার। যেকোন সময় চাইলে এটি ছিড়ে তারা মুক্তভাবে চলে যেতে পারে কিন্তু বিশেষ কোন কারণে তারা তা করে না। কারণটাই তাকে ভাবাচ্ছিল।
কাছেই তিনি একজন প্রশিক্ষককে পেলেন এবং জানতে চাইলেন কেন এই প্রাণী গুলো এভাবে দাঁড়িয়ে থাকছে, দূরে পালিয়ে যাবার কোন চেষ্টা কেন করছে না। তখন প্রশিক্ষক উত্তরে বললেন-যখন তারা খুব ছোট ছিল, তখনও তাদেরকে এই সাইজের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হতো,
যা বেঁধে রাখার জন্য তাদের ঐ সময়ের সাইজের জন্য যথেষ্ট ছিল।
বড় হতে হতে তারা ধারনা করতে থাকে এই দড়ি তাদের নিয়ন্ত্রন করছে, এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাবে না।
এক সময় এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, যেমন এখন, তাদের সাইজ দড়ির চেয়ে বহুগুন বড় হলেও তাদের বিশ্বাস যে, এই দড়ি এখনো তাদের ধারণ করতে পারে। তাই তারা তা ছিড়ে বাইরে যাবার কোন প্রচেষ্টা কোন দিন করে না।
লোকটি খুব অবাক হয়েছিল। এই প্রাণীগুলো চাইলেই তাদের বন্ধন থেকে বাইরে আসতে পারে কিন্তু শুধুমাত্র “তারা পারবে না ” এই বিশ্বাসের কারণে তারা সেখানেই আটকে থাকে, যেখানে তাদের আটকে রাখা হয়।
হাতির মত, আমারা অনেকেই বিশ্বাস করে বসে আছি যে, জীবনে কিছু করতে পারব না। শুধুমাত্র, জীবনে কোন এক সময় ব্যর্থ হয়েছিলাম এই কারণে।